শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০

সাম্প্রতিক ডায়েরী-১

শরীরটার উপর দিয়ে বেশ ধকল যাচ্ছে কয়েকদিন থেকেই। দৌড়াদৌড়ি, ছুটোছুটিতে খুব ক্লান্ত এখন। গত বৃহস্পতিবার রাকিব ভাইয়ের ওখানে গেছিলাম। মোটামুটি সারারাত ম্যাগাজিনের কাজ করেছি তখন। রাকিব ভাইয়াদের সেহেরী রান্না করতে একটু দেরি হয়েছিল। হঠাৎ দেখি আজান আরম্ভ হয়ে গেছে। দৌড়াদৌড়ি করে ভাত নিয়ে আসা হলো। মামুন ভাই বললো, “রনি, আমাদের সময় আজান পর্যন্ত। যতক্ষন আজান চলবে আমরা ততক্ষন খেতে পারবো। এর ভেতর খাওয়া শেষ করো”। আমরা ১১ জন ছিলাম সেখানে। আজান শেষের পর কাকতালীয়ভাবে লক্ষ্য করলাম আমাদের সবার খাওয়াও শেষ। ভাবছিলাম রোজা থাকতে বোধয় একটু কষ্ট হবে, কিন্তু কোন কষ্টই হয়নি।


আইইউটিতে ফিরে আসার পর আবার নতুন কাজ- কলেজের রিইউনিয়ন। গতবছর করবো করবো করেও করতে পারিনি রিইউনিয়নটা। এবার তাই উঠে পড়ে লেগে গেলাম। মিশুক আর শাওন অমানবিক পরিশ্রম করেছে এই ক’দিন। সে তুলনায় আমার পরিশ্রম একটু কমই হয়েছে। আমাদের ব্যাচে ১২০০ স্টুডেন্ট। নিঃসন্দেহে রিইউনিয়নের কাজ উদ্যোক্তা হিসেবে করাটা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। পোস্টার ডিজাইন করা থেকে শুরু করে গ্রুপে মেইল পাঠানো পর্যন্ত অনেক কাজ করতে হয়েছে আমাকে। সবকিছু অসম্ভব হয়ে যেত যদিনা আপন, অনি, শাওন, শুভরা এতটা হেল্প করতো।

মেয়েরাও যথেষ্ট হেল্প করছে। রিমি, রুশি, অনি থেকে শুরু করে পিংকিরা পর্যন্ত অনেক কাজ করছে। হঠাৎ কিছুক্ষন আগে সিদ্ধান্ত নিলাম কলেজেরও ম্যাগাজিন বের করা হবে। দ্রুত মেইল টাইপ করে ফরোয়ার্ড করে দিলাম সবাইকে। সিনিয়রদের থেকেও লেখা নেওয়া হবে। মেইন গ্রুপে ম্যাসেজটা পাঠালাম কিছুক্ষন আগে।টাকা জমার রশিদ প্রিন্ট করা হয়ে গেছে। শাওন, আপন, অপু, শুভরা অনেক শ্রম দিয়েছে এর পেছনে। অনিও বেশ পরিশ্রম করছে।

একটা মজার ঘটনা শুনে হাসি পেল। হাসি সামলানো কঠিন হয়ে গেছিল তখন। গত টার্মে পি.এন. স্কুলের রিইউনিয়নের জন্য যখন কাজ করা হয় তখন নাকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টারিং করতে গিয়েছিল অনি। খুব সকাল গেছিল যাতে কেউ না দ্যাখে। একটা মেয়ে সাত সকালে ওয়ালে পোস্টারিং করছে, দৃশ্যটা কল্পনা করতেই কেমন জানি হাসি পেল। জানি হাসা উচিত না, তারপরও হাসি পেল।

যাহোক, সবাই খুব পরিশ্রম করছে। আমিও খুব ক্লান্ত, বেশ কয়েকদিন থেকে ঘুমাইনি। সময়ের অভাবে ম্যাগাজিনের জন্য নিজের লেখাটা কমপ্লিট করতে পারলাম না, খারাপ লাগছে। গতবছরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি কোন অনুষ্ঠানে ফ্রন্টে থাকবো না, ব্যাক এন্ডে কাজ করবো যতটা দরকার হয়। কিন্তু এবারও মনে হয় যেতে হচ্ছে। দুপুরে মামুন ভাই ফোন দিয়ে বললো আমাকে ডিবেটে পার্টিসিপেট করতেই হবে নাহলে নাকি ডিবেটই হবেনা এবার। কি আর করা! এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি কি করবো।

লোপা আমাকে বলে রেখেছিল নেক্সটবার ডিবেটে পার্টিসিপেট করলে আমার গ্রুপে যেন অবশ্যই সে থাকে। লোপার সাথে কথা বলা হয়নি অনেকদিন, যোগাযোগ করা দরকার অর সাথে। মেয়েটা বেশ তুখোড়। একটু শিখিয়ে দিলেই ভাল করবে অনেক। ইংলিশ উচ্ছারণও বেশ সুন্দর। ডিবেটে আমার গ্রুপে হলে বেশ ভালোই হবে।

ভাবছি এবার ভালবাসা সিরিজের তৃতীয় বইটা আমার নিজের লেখা না, ভাললাগে এরকম লেখাগুলো নিয়ে করবো। সাগরের জন্য নোট কমপ্লিট করা হয়নি এখনও। খুব খারাপ লাগছে ছোট ভাইটার জন্য। আব্বু আম্মু এবার হজ্জ এ যাবে, আমারও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং সেই সনয়। বাড়িতে থাকতে পারবোনা, আর তখনই সাগরের পরীক্ষা। কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।

খুব ক্লান্ত এখন আমি, খুব… ঘুমানো দরকার। কিন্তু ঘুমাতে মন চায়না। প্রিয় ব্লগটায় লেখিনি বেশ কয়েকদিন। লেখিই না আজকে একটু……

1 মন্তব্য(গুলি):

রনি পারভেজ বলেছেন...

টেস্টিং।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন